সিলেটে গত ৩-৪ দিন ধরে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। এ ক’দিন প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। গ্রামাঞ্চলে এ অবস্থা আরো ভয়াবহ। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গত তিন-চারদিন ধরে সিলেটে আবারো শুরু হয়েছে বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং। একদিকে প্রচন্ড রোদে বেড়েছে গরম, তার ওপর শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেওয়ার পরেই শুরু হয় লোডশেডিং। গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিং এর মাত্রাও বাড়ে। দুপুরে এ অবস্থা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। আর রাতে ঘুমানোর সময়েও লোডশেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছেন না লোকজন। এতে করে বেড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি।
এ অবস্থা চলমান থাকলে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও কোটা আন্দোলনের পর বিদ্যুতের লোডশেডিং তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং এর কবলে পড়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে। সিলেটে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সাথে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। গ্রাহকরা এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন।
তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে- চাহিদার তুলনায় কম তাই ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-এর বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২১০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১৫৪ মেগাওয়াট। সিলেট জেলায় ১৪৮ মেগাওয়াটের বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১০৩ মেগাওয়াট। এই ঘাটতির কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন- সমস্যা দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।