রাশিয়ার অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রার অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার এতটা ভেতরে আর কখনো যেতে পারেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার (১১ আগস্ট) পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন সেনাদের হামলা ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রাশিয়ার শান্তিপূর্ণ জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য কিয়েভকে অভিযুক্ত করেছেন।আকস্মিক হামলায় অপ্রস্তুত রাশিয়া টোলপিনো এবং ওবশচি কোলোদেজ গ্রামের কাছে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। এই দুটি গ্রাম রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কুরস্ক অঞ্চলের বেশ কিছু বসতি দখল করেছে ইউক্রেনের সেনারা। এছাড়া একটি গ্রাম-গুয়েভোতের প্রশাসনিক ভবন থেকে রাশিয়ার পতকা অপসারণ করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৫ হাজার লোকের শহর সুদজা-তে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
কুরস্কের সীমান্তবর্তী সুমি অঞ্চলে সাজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক নিয়ে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে ইউক্রেনের সেনাদের।
এই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভও বলেছেন, শনিবার গভীর রাতে কুরস্কের আঞ্চলিক রাজধানীর একটি বহুতল ভবনে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
কুরস্কের হামলাকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।