Home » সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ এর শঙ্কায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেই অনুযায়ী শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তাদের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। ‘বিচারপতি গদি ছাড়’ বলেও স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ডাকা ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি।

এর আগে অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ও ‘যেকোনও ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ। আজ (শনিবার) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির কোনও ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হতে শুরু করেছেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সকালে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থান রক্ষার্থে জুডিশিয়ারি ক্যু রুখে দিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করুন।’ যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রার আহ্বানও জানান তিনি।

পরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আপামর জনতাকে আহ্বান করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আপনারা প্রতিটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। সেইসঙ্গে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে মিছিল বের করুন। দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জর্জকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে। আজ ফ্যাসিবাদী বিচারব্যবস্থাকে আজ সমূলে উৎখাত করবে গোটা বাংলাদেশ।’

তিনি আরও ঘোষণা দেন, ‘দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির নামে যেই ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট শিক্ষক উইং রয়েছে, তা আজ ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, সব সিন্ডিকেটকে আজই ভেঙে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।’

অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অন্যথায় যে জনতা অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী হাসিনাকে গদি থেকে নামাতে পারে, আপনাদের গদি থেকে টেনে নামাতে তাদের আধাঘণ্টাও লাগবে না।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *