বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তিনিও নেমেছিলেন রাস্তায়। শিল্পীসমাজের সঙ্গে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রদের সঙ্গে। এই আন্দোলনের বিজয়ে তারও উল্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি। উল্টো স্ত্রী সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে ছাড়তে হয়েছে ঘর।
জলের গানের গায়ক রাহুল আনন্দের কথা বলছিলাম। আন্দোলনে বিজয় পরবর্তী সহিংসতায় ঘর-বাড়ি পোড়ানো হয় তার। পুড়ে ছাই হয়ে যায় গায়কের নিজ হাতে বানানো অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র। সবমিলিয়ে একটি স্বপ্নের মৃত্যু যেন! বিষয়টি মানতে পারছেন না জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। রাহুলের পক্ষে কথা বলতে শিল্পী সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বন্যা মির্জা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা যেন সকলে সহকর্মীদের পাশে থাকি। আমরা কেউ আলাদা নই। আমাদের নানা মত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। দয়া করে তাদের দালাল বলবেন না। তাহলে আপনিও তাই হবেন। সেটা হবেন না প্লিজ। আপনার মতে মিলবে না বলে তাকে কটু কথা বলবেন না।
এরপর লেখেন, রাহুলের সাথে যা হলো সেটা নিয়ে কথা বলুন। সবাই বলুন। সব অমানবিকতার বিরুদ্ধে কথা বলুন। কেউ টিজ করলে কেউ তার উত্তর করবেন না, টিজ করার ক্ষতি আমরা দেখছি। সামান্য একটা বাক্যতে যা মেটানো যেত সেটা না হওয়তে কেবল তাচ্ছিল্যের কারণে আমরা এখানে। নিজেরা নিজেদের গালি দেবেন না দয়া করে। “দালাল” শব্দটা “রাজাকার” থেকে কোন অংশে খারাপ গালি না।
রাহুল আনন্দের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন অনেকে। শিরোনামহীন ব্যান্ডের দলনেতা জিয়া, সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী রয়েছেন এ তালিকায়।