মূল্য তালিকা না রাখার কারণে এক মাংস বিক্রেতাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জনসম্মুখে জরিমানা টাকার পরিমাণও ঘোষণা করা হয়। পরে দোকানদারের অনুরোধে জরিমানা ১০ হাজার টাকা কমিয়ে ভোক্তা অধিকার আইনের ৩২ ধারায় ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌরশহরে মাংস বিক্রিতা শহীদ মিয়াকে এই জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভুঞাসহ পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরা। পবিত্র রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে তারা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
মাংস বিক্রেতার দোকানের সামনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাঁচ থেকে সাতজন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বাড়িয়েছে। এনিয়ে কেউ কথা বলতে পারেন না। মাংসের মধ্যে পানি দিয়ে ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরও বিভিন্ন রকমের কারচুপি রয়েছে এখানে।’
অভিযোগ স্বীকার করে গরুর মাংস বিক্রেতা সমিতির সভাপতি রাশিদ আলী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা তার কথা শোনে না। ওজনে কম না দিতে ও দোকানের সামনে মূল্য তালিকা রাখতে বলেছি আমি। তারা আমার কথা শুনেনি।’
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে যৌথ অভিযানে এসেছি। আজকেও বাজারে বেশ কিছু অনিয়ম দেখলাম। গরুর মাংস বিক্রেতাদের প্রতিশ্রুতি ছিলো ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। তারা সেটি রাখেননি। এ ছাড়া বেশ কিছু আইনের লঙ্ঘন পেয়েছি। এজন্য একটি গরুর মাংস দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। চালের দোকানে ২০ টাকা লাভে বিক্রি করতে দেখলাম। সেখানে সর্তক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’
বার্তা বিভাগ প্রধান