পাকিস্তানে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশে দীর্ঘ বিলম্ব হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তিন দিনেও মেলেনি ভোটের ফলাফল। দেশটির রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ভোটার ও সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে সবার দৃষ্টি এখন টেলিভিশনের পর্দায়। সেখানে বহু প্রতীক্ষিত অনানুষ্ঠানিক এবং অনিশ্চিত ফলাফলগুলো প্রায় শেষের দিকে। এবার অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়। তা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ৮৫৫টি নির্বাচনি এলাকায় অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের জন্য পছন্দের প্রতিনিধিদের ভোট দিয়েছেন। তবে ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলেও অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে ফলাফল প্রকাশে। ভোটগ্রহণের তিন দিনেও আনুষ্ঠানিক কোনও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
জিও নিউজের সকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের ২৬৬টির মধ্যে ২৫১টি আসনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা। আর নওয়াজের পিএমএল-এন জিতেছে ৭০টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫১টি।
পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৩৪টিতে জয়লাভ করতে হয়। সেক্ষেত্রে কোনও দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। যদিও কয়েকটি আসনের ফল ঘোষণা এখনও বাকি রয়েছে। তবে সেগুলোতে জয়ী হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কোনও দল।
এদিকে, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার আগেই সাধারণ নির্বাচনে পাল্টাপাল্টি জয়ের দাবি করেছে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই ও নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন। পিটিআইয়ের দাবি, তাদের সমর্থিত প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসনে জয়ী হয়েছেন। আর নওয়াজ শরিফ দাবি করছেন, একক বৃহত্তম দল হিসেবে জয়ী হয়েছে পিএমএলএন। এমন পরিস্থিতিতে কারা সরকার গঠন করবে সে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।
বার্তা বিভাগ প্রধান