সিলেটজুড়ে হঠাৎ ডাকা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে তারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন- অবরোধ প্রত্যাহার হলেও বিভিন্ন সড়ক- বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। সড়কগুলোতে যানজট ছাড়াতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ দক্ষিণ সুরমার তেতলি পয়েন্টে প্রথম সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ট্রাক শ্রমিকরা। তারা দাবি করেন- র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ তাদের চারজন শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে দুজন ও দক্ষিণ সুরমা থেকে দুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
সন্ধ্যার পরপরই টিলাগড়-মেজরটিলায় সিলেট-তামাবিল সড়ক, এয়ারপোর্ট রোড, গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে ফেলেন শ্রমিকরা। এতে এসব সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ। বিশেষ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর যানজটে থেকে চরম কষ্টের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। এছাড়াও শ্রমিকরা আটকে রাখেন অনেক রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এতে রোগীরা হয়ে পড়েন আরও অসুস্থ। উপায় না দেখে অনেকে গাড়ি থেকে হাটতে শুরু করেন গন্তব্যে যেতে। যানজট প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রাত পৌনে ১০টার দিকে সৃষ্ট হওয়া ভয়াবহ যানজট পুরোপুরি ছাড়াতে মধ্যরাত পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীসাধারণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আটক ৪ জনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছাড়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়ার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন- আমাদের চার শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে র্যাব। কী কারণে নিয়ে গেছে আমরা জানি না। আমাদেরকে কিছু বলা হয়নি। এ চারজনকে না ছাড়া পর্যন্ত আমরা অবরোধ তুলবো না।
বার্তা বিভাগ প্রধান