ইরাকের আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডস (আইআরজিসি) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সোমবার রাতে এই ঘটনার পর এর দায় স্বীকার করেছে আইআরজিসি। একই সাথে ইরানের এই এলিট ফোর্স সিরিয়ায় আইএস’র বিরুদ্ধেও হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। ইরাকের উত্তরের ইরবিলের কাছে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে।
হামলায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর দিচ্ছে ইরাকের কুর্দিস্তান নিরাপত্তা পরিষদ। গত বছরের সাতই অক্টোবর থেকে গাঁজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যেই হামলার এই ঘটনাটি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন জানান, ”আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন চালিয়ে যাবো। তবে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এই হামলাটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত।”
ইরান রেভুলেশ্যনারি গার্ড তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘জায়োনিস্টদের সাম্প্রতিক নৃশংসতা, রেভুলেশ্যনারি গার্ডস ও অ্যাক্সিস কমান্ডারদের হত্যার কারণে ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তর এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, তারা ইরানের সংবাদ সংস্থার পুরো প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি। মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয় নি বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
গত মাসে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের এই এলিট ফোর্সের তিন কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ ছিলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। সেই সময়ই ওই ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।
বার্তা বিভাগ প্রধান