কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে জেঁকে বসেছে শীত ও ঠান্ডা। ঘন কুয়াশার কন কনে ঠান্ডায় শীতের আবরণে সূর্য ঢাকা পড়ে আছে দিনভর। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও।দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত নামতেই বেড়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাসের গতি।সব মিলিয়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে বিশেষ করে অসহায় ছিন্নমুল মানুষদের। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমুল পরিবাগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে গেছে। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাট, বাজার, দোকান পাট চলছে ঢিলাঢালাভাবে।
এদিকে তীব্র শীত নিবারনে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশী। রংপুর বার্ন এন্ড সার্জারী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহীন শাহ্ জানান,এতো সংখ্যক বার্ন রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান এই চিকিৎসকের।
অপর দিকে বিশেষ করে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ,বানিয়ার চর লক্ষীটারী ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নানাবিধ রোগব্যধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বেড়ে গেছে অগ্নিদগ্ধদের সংখা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
রংপুর জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন র্যাব পুলিশ প্রশাসনসহ সমাজের বৃতবান মানুষেরাও।
নির্বাহী সম্পাদক