২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের। শুরু থেকে এই ১৪ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া দলের ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তবে চলমান পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাককে বিদায় জানাবেন এই ক্রিকেটার।
তাই সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনা হচ্ছে ওয়ার্নারের পর অস্ট্রেলিয়ার দলের ওপেনিংয়ে হাল ধরবেন কে। যদিও গুঞ্জন আছে ওয়ার্নারের পর অস্ট্রেলিয়া দলের ওপেনিংয়ে দায়িত্ব উঠতে পারে ম্যাট রেনশ, ক্যামেরন ব্যাটক্রফট এবং মার্কাস হ্যারিসের মধ্যে যেই কোনো এক জনের কাঁধে। তবে এই পজিশনের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে।
এর মধ্যে অজি দলের হেড কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড গেল কিছু দিন আগে বলেছেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের জন্য ধারাবাহিকভাবে ৩ নম্বর পজিশনের জন্য লাবুসচেন মিডল অর্ডারে গ্রিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এক ধাপ ওপরে উঠিয়ে আনা হতে পারে।’ তবে সম্প্রতি ওপেনিং পজিশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সময়ে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় স্টিভ স্মিথ ওয়ার্নারের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া দলের ওপেনিং পজিশনের খেলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি শিগিগরই এই বিষয়ে দলের অধিনায়ক এবং হেড কোচের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন।
গতকাল সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে স্মিথ বলেন, ‘আমি যদি ওপেনিং খেলতে পারি তাহলে সেটা আমার জন্য বেশ আনন্দদায়ক হবে। দলের অধিনায়ক এবং কোচ যদি চায়, তাহলে এই বিষয়ে আমি বেশ আগ্রহী। আমি নিশ্চিত যে, নির্বাচক এবং রন অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও প্যাট কামিন্স এই ম্যাচের পরে আলোচনায় বসবেন। আমি সেই আলোচনায় আমি আমার আশার কথা তুলে ধরব।’
যদি ২০২৩ সালে খুব একটা ভালো কাটেনি স্টিভ স্মিথের। গেল বছরে মোট ১৪টি টেস্ট খেলেন এই অজি ব্যাটার। সেই ম্যাচগুলোতে তিন হাফ-সেঞ্চুরি এবং দুই সেঞ্চুরিতে করেন ৮৬৩ রান। এর আগে স্মিথ তার পুরো ক্যারিয়ারে ৩ নম্বর পজিশনে ব্যাট করে ৬৭.০৭ গড়ে রান করেন। পাশাপাশি করেন আটটি সেঞ্চুরি। এবং ৪ নম্বর পজিশনে এই ডানহাতি ব্যাটার ৬১.৪৬ গড়ে রান করেন এবং এই পজিশনে করেন ১৯টি সেঞ্চুরি।
বার্তা বিভাগ প্রধান