দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগের মধ্যে দুটি জেলার ১০টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে সুনামগঞ্জের ৭টি ও হবিগঞ্জের ৩টি উপজেলা রয়েছে। এসব দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে করে ভোটের ব্যালটসহ অন্যান্য উপকরণ পাঠানো হবে।
সিলেট বিভাগের দুই জেলা ছাড়া দেশের আরও ২৩টি জেলার ৬২টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা ঘোষণা করেছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের জারি করা পরিপত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সিলেটের দুইটি জেলার মধ্যে রয়েছে- সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই (হাওড় বেষ্টিত)।
এছাড়া কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর; গাইবান্ধার ফুলছড়ি; বগুড়ার সারিয়াকান্দি; সিরাজগঞ্জের চৌহলী, সদর (আংশিক) ও কাজীপুর; বাগেরহাটের সরণখোলা; খুলনার দাকোপ ও কয়রা; বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলী; পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা; বরিশালের হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ; নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দূর্গাপুর, খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ; কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী; জামালপুরের ইসলামপুর।
দুর্গম এলাকার তালিকায় রয়েছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাশন; চাঁদপুরের হাইমচর; লক্ষ্মীপুরের রামগতি; নোয়াখালীর হাতিয়া; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ; খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষীছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা; রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি; এবং বান্দরবান জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। তা ৫ জানুয়ারি থাকবে। এতে ১৮ দিন ভোটের প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে প্রার্থীরা। এরপর আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।