ইয়েমেনের লোহিত সাগরের হুথিদের একের পর এক হামলার প্রতিবাদে ১০ দেশের জোট ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি জাহাজে সোমবার হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী। এর আগে লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ১০টি দেশ নিয়ে এই জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। হুথিদের হামলা ঠেকাতে ১০ দেশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলো যেন হামলার কবলে না পড়ে সেজন্য এই ১০ দেশের জোট ঘোষণা করা হয়েছে। এই জোটে যোগ দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সিসিলিস এবং স্পেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলছেন, যে দেশগুলো স্বাধীনতার মৌলিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে চায় তাদের অবশ্যই এই অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর দ্বারা উত্থাপিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একত্রিত হতে হবে। অস্টিন একটি বিবৃতিতে এই হামলাকে সম্মিলিত পদক্ষেপের দাবি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনী বলেছে তারা তাদের পানিপথে মোট ১৫টি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে।
ইরান-সমর্থিত হুথিরা গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জাহাজগুলোতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। ইসরাইল বা ইসরায়েলিদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন জাহাজগুলোকে তারা লক্ষ্য করছে।
এদিকে আরও দুইটি জাহাজে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে হুথিরা। তারা বলছে, নরওয়ের মালিকানাধীন সোয়ান আটলান্টিক এবং নৌ ড্রোন ব্যবহার করে এমএসসি ক্লারাতে তারা হামলা চালিয়েছে।
সোয়ান আটলান্টিকের মালিক বলেছে, জাহাজটির ইসরায়েলের সাথে কোনও যোগসূত্র নেই এবং এটি একটি সিঙ্গাপুরের সংস্থা দ্বারা পরিচালিত । যদিও জাহাজ দুইটিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে হুথিরা বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এ বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে তারা। হুথির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি সোমবারের আগে বলছিলেন, গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যে কোনও জোটের মুখোমুখি হবে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ লোহিত সাগর দিয়ে হয়ে থাকে যা সুয়েজ খালের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরের সাথে সংযুক্ত হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান