যুক্তরাজ্যে কাজ করার অনুমতি পেতে ন্যূনতম আয়সীমা বছরে ২৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা হয়েছে। আর পারিবারিক ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম আয়সীমা ১৮ হাজার ৬০০ থেকে একলাফে বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ করা হয়েছে। ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি স্থানীয় সময় সোমবার রাতে এ ঘোষনা দিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যসেবা বা কেয়ার ওয়ার্কার ভিসার ক্ষেত্রে এ বর্ধিত আয়সীমার শর্ত প্রযোজ্য হবে না। ২০২৪ সালে প্রথম থেকে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
নেট মাইগ্রেশন রেকর্ড সংখ্যায় বেড়ে যাওয়ায় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রিটিশ সরকার অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্বান্ত নিয়েছে। তবে কেয়ার ভিসায় নতুন নিয়মে স্ত্রী- সন্তান আনা যাবে না। সেই সঙ্গে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনের রেগুলেটেড কেয়ার কোম্পানি ছাড়া কোন কেয়ার কোম্পানী কর্মী আনতে পারবে না। তবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে শর্টেজ অকুপেশন লিষ্ট রিভিউ করবে সরকার।
লন্ডনের লেক্সপার্ট সলিসিটর্সের কর্ণধার ব্যারিস্টার শুভাগত দে বলেন, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কার্যত অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ব্রিটেনে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন অভিবাসী কমিউনিটিতে কেয়ার ভিসা নিয়ে হাজার হাজার পাউন্ডের বাণিজ্য হয়। লাইসেন্স বাতিল ও কর্মীদের এনে কাজ না দেওয়ায় অভিযোগ রয়েছে কেয়ার হোমগুলোর বিরুদ্ধে। তবে কেয়ার হোমগুলো বলছে, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কেয়ার ভিসায় আসছেন, তাদের কাজের ও ভাষাগত ন্যূনতম দক্ষতা না থাকায় কাজ দিতে পারছেন না তারা।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকার কাজের বৈধতা বিহীনদের কাজ দিলে নিয়োগদাতার জরিমানার পরিমাণ ১৫ হাজার পাউন্ড থেকে ৬০ হাজার পাউন্ড করার বিধান করেছে যা ২০২৪ সালের শুরু থেকে কার্যকর হবে। গত বছরে ৭৭,৭০০ জনকে কেয়ার ভিসা দিয়েছে ব্রিটেনের হোম অফিস।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান