Home » স্পিকারের সঙ্গে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

স্পিকারের সঙ্গে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সংসদীয় অধিবেশন, শিক্ষা ব্যবস্থা, সংসদীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।এসময় শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব।

স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংসদের এক অধিবেশন থেকে পরবর্তী অধিবেশন ৬০ দিনের মধ্যে হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং বছরে পাঁচটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক দিনের অধিবেশনে এক ঘণ্টা করে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব রয়েছে এবং প্রতি বুধবার প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, প্রতি অধিবেশনে মোট কত ঘণ্টা আলোচনা হবে তা কার্যউপদেষ্টা সভায় ঠিক করা হয়। আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময় সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকার ও বিরোধীদলীয় হুইপদের সিদ্ধান্ত অনুসারে সংসদ সদস্যরা সক্রিয় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।স্পিকার বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই নির্বাচনকালীন ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ছাড়ার নজির নেই। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সব কাজ করবে এবং সরকার তার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

স্কটল্যান্ডের ক্রস পার্টি গ্রুপের কনভেনার এবং লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ফয়সল চৌধুরী এমএসপি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।

এসময় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে ডেপুটি ক্রস পার্টি কনভেনার এবং কনসারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য মেইল ব্রিজেস এমএসপি, ন্যাশনাল পার্টির ইভলিন টুইড, বাংলাদেশবিষয়ক সিপিজির নন-এমএসপি মেম্বার জুনেদ হোসেন চৌধুরী, ফারহান মাসুদ খান ও লুৎফর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *