স্টাফ রিপোর্ট: সিলেটের গোলাপগঞ্জে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত সাজিয়ে ’জাল দলিল’ সৃষ্টি করে ভূমি দখল ও আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ দলিল লেখক নকুল রঞ্জন দে’ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা নং- ৩৪৩/২০২৩ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সিলেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ উত্তর মাইজগ্রামের মোল্লাগ্রামের মৃত নজির আহমদ সেলিমের ছেলে মো. জুম্মান আহমদ মিলাদ সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ (গোলাপগঞ্জ) মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের ঢাকা দক্ষিণ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক (সনদ নং-৬৯), গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের নকুল রঞ্জন দে, একই থানার হেতিমগঞ্জের মৃত আতাউর রহমান ওরফে মিয়া ঠাকুরের ছেলে দিলাল আহমদ ও হেলাল আহমদ এবং মৃত ছবারক আলীর ছেলে আখলাছ মিয়া।
অভিযোগ আছে – দলিল লেখক নকুল রঞ্জন দে সিলেট সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের টিসি মোহরার তপন কান্তি দে এর আপন ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছেন।
মামলায় প্রকাশ, সিলেটের গোলাগঞ্জ উপজেলার হাতিমনগর মৌজার এসএ খতিয়ান ৬১০ ও এসএ খতিয়ান ৫৯৬ এর ৬৮ ও ৬৯ দাগের ভূমির উত্তাধিকারী মালিক ছিলেন গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ উত্তর মাইজগ্রামের (মোল্লাপাড়ার) নজির আহমদ সেলিম ও ফয়েজ আহমদ। নজির আহমদ সেলিম ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর একমাস পর মৃত নজির আহমদ সেলিমকে জীবিত ও দাতা সাজিয়ে দলিল লেখক নকুলসহ দিলাল ও হিলালরা ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের ঢাকা দক্ষিণ সাবেজিস্ট্রার অফিসে তাদের নামে একটি ( জাল ) দান দলিল (নং ৫৬১/২০১৮) করেন। পরবর্তীতে তারা এই দলিলকে আসল ও খাটি দাবি করে সজির আহমদ সেলিমের উত্তরাধিকারীগনের ভূমি দখল ও আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে মৃত নজির আহমদ সেলিমের উত্তারধিকারী এই জাল দলিলের জাবেদা নকল উঠান এবং এলাকায় বিচার প্রার্থী হন। কিন্তু বর্ণিত তারা বিচার নিষ্পত্তিতে না আসায় মরহুম নজির আহমদের ছেলে জুম্মান আহমদ মিলাদ ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বারের আইনজীবি এডভোকেট এম ফরিদ আহমদ।
সূত্রঃ বর্তমান সিলেট।
প্রতিনিধি