আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, আজকে অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন। ’৭৫ এর মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ড যখন ঘটানো হয়েছিল; অন্তঃসত্ত্বা নারীকে যখন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়; নিষ্পাপ শিশুকে যখন হত্যা করা হয়- সেই দিন গণতন্ত্র, মানবতা কোথায় ছিল?
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শেখ কামাল: শুদ্ধ তারুণ্যের ঋদ্ধ স্লোগান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ সেলিম বলেন, ১৯৭৫ সালে শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই, ওরা স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে। আমাদের সবকিছুকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে নাই, কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা নয় তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের নিপীড়িত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের নেতা।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়, পরে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। শেখ কামাল বাসায় না থেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে যায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সেলিশ বলেন, বাঙালিদের মধ্য থেকে কিছু লোক বিশ্বাসঘাতকতা করে, ষড়যন্ত্র করে বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের মাটি ও মানুষের নেতা। কোনও ঘাতকচক্র বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিক থাকলে, দলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। যারা একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে নাই তাদের মধ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল কখনই চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা প্রমুখ।
নির্বাহী সম্পাদক