ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারের টেকনাফে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দেখা মিলছে না। অধিকাংশ বাড়িতে বড় বড় তালা ঝুলছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। হাটবাজারগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।”
“মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত টেকনাফের ২ জন এবং নেত্রকোনায় টেকনাফের বাসিন্দা আরও ২ জন, মোট ৪ জন নিহত হওয়ার পর গডফাদাররা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ছাড়া শহরের আশপাশে চলাচলকারী নানা রঙের মোটরসাইকেলগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।”
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৈরি করা ইয়াবার চোরাচালানের তালিকায় ১ হাজার ১৫১ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ শহরেই ৫২ গডফাদারসহ ৯১২ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জনই হলেন সাংসদ বদির ভাই, বোন, ভাগনে, মামাতো ভাই, মামা, বেয়াইসহ নিকটাত্মীয়।’
“পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাংসদ বদির ছোট ভাই মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১২-১৫ জনের একটি চক্র রয়েছে। চক্রটি নাফ নদীর চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়ার কয়েক কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। আর সাংসদের ভাগনে সাহেদুর রহমান ও মুফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সাবরাং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলের মুন্ডারডেইল, নয়াপাড়া, কাটাবনিয়াপাড়ার এলাকা দিয়ে ইয়াবার চোরাচালান খালাস করা হয়।”
প্রশাসন সূত্র বলছে, বাংলাদেশে চোরাই পথে ইয়াবা পাচারের জন্য মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপিত হয়েছে ৩৭টি কারখানা। মিয়ানমারের ৮ সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে এ কারখানাগুলো পরিচালিত হয়। মিয়ানমারভিত্তিক ১০ ডিলার ওই সব কারখানায় তৈরি করা ইয়াবা পৌঁছে দিচ্ছে টেকনাফে।’
’টেকনাফের বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী বলেন, বিজিবির টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর ফলে এখন সমুদ্রপথে ইয়াবা বেশি পাচার হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। গত ৫ মাসে বিজিবির সদস্যরা ৬৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫টি ইয়াবা উদ্ধার করেন। নৌযানসহ ১২৩ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।’
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, পুলিশ এ পর্যন্ত শীর্ষ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।’ তবে নিজেদের আলিশান বাড়ি রেখে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দুবাই, মালয়েশিয়া, ভারত ও ওমরাহ পালনের নামে সৌদি আরব এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছেন।’ অনেকে ট্রলারযোগে সমুদ্রপথে মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।’ আবার কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক এড়াতে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।‘ কোনো কোনো বাড়িতে বড় বড় তালা ঝুলছে।’ প্রথম আলো