ডেস্ক নিউজ :
নাম তার আরি কালা। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণী বাস করেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস্’এ। তার দাবি, মাত্র ১২ বছর বয়সেই নিজের ভেতরে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার দেখা তিনি পান। তাও আবার যে সে ক্ষমতা নয়। রীতিমতো মৃত্যুর গন্ধ পান তিনি।আরি কালা’র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, মৃত্যু পথযাত্রী এক চাচা’র বাড়িতে গিয়ে প্রথম আধ্যাত্মিক ক্ষমতার বিষয়টি টের পান তিনি। এরপর থেকে তা আরও স্পষ্ট হতে থাকে।আধ্যাত্মিক ক্ষমতার চাপে আইনি সচিবের চাকরিও ছেড়ে দেন কালা। এরপর পুরোপুরি মন দেন আধ্যাত্মিক শক্তিকে কাজে লাগাতে। এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন এই নারী।প্রতিবেদনে বলা হয়, উপার্জনের পথ হিসেবে এখন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকেই কাজে লাগাচ্ছেন কালা। অন্য সব নারীদের ভেতরে থাকা আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে বের করে আনাই তার কাজ।কালার মতে, নারীদের ভেতরে থাকা আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে বের করে আনার কাজ করলেও একটি জায়গায় তার আফসোস থেকেই গেছে। কেননা মৃত্যুর গন্ধ পেলেও তার সেই ক্ষমতা কারও জন্য উপকার বয়ে আনে না। বরং নেতিবাচক পরিস্থিতিরই সৃষ্টি করে।এর পর এক দশকেরও বেশি সময় কেটে যায়। এই আশ্চর্য ক্ষমতায় বহু মৃত্যুকে সম্যক অনুধাবন করেছেন আরি। মৃত্যুর আগাম সন্ধান পাওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে বহু ছবি বা সাহিত্যকর্ম হয়েছে। কিন্তু আরি কোনো সিনেমা বা উপন্যাসের চরিত্র নন।আরি কালার দাবি, তার এই অভিজ্ঞতা একেবারেই বাস্তব। আর সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি বাস করেন এক রহস্যের অন্তরমহলে।নিজের অসহায়ত্বও খুব ভালো করে জানেন আরি। তিনি জেনে গেছেন, মৃত্যুর আগাম আভাস পেলেও তাকে আটকানোর কোনো ক্ষমতা তার নেই।২৪ বছর বয়সী ওই সুন্দরী তরুণী মনোবিদের কাজ করার আগে একটি সংস্থায় সেক্রেটারির কাজ করতেন। কিন্তু অচিরেই বুঝতে পারেন এই কাজ তার জন্য নয়। তার পরই তিনি পেশা পরিবর্তন করেন। নিজের মনের ওই রহস্যজনক আচরণকে সামনে রেখেই অন্যের মনের সমস্যার সমাধান করেন তিনি।আরি জানেন, আগে থেকে বুঝতে পারা যাক আর না পারা যাক, সবার কাছেই মৃত্যু এক অবশ্যম্ভাবী গন্তব্য। নিয়তিকে অতিক্রম করার ক্ষমতা যে কারও নেই, তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি।