লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যৌতুকের জন্য সাহিদা বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান স্বামী দুলাল হোসেন।দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়ার আদমদিঘী এলাকায় অভিযান চালায় রংপুর র্যাব ১৩ এর একটি আভিযানিক দল।সেখানেই গ্রেফতার করা হয় চাঞ্জল্যকর এই হত্যাকান্ডের মুলহোতা দুলাল কে।শুক্রবার সকালে নগরীর আলম নগর র্যাব ১৩ অধিনায়কের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য দেন র্যাব ১৩ অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম। চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলার আসামীসহ র্যাবের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। উলেখ্য
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে সাহিদা বেগম (৩০) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক দুলাল হোসেন (৩৮) আছেন।শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার বুড়িমারীর মুকলিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা। নিহত সাহিদা পাটগ্রাম উপজেলার কালিরহাট টেপুর গাড়ি গ্রামের সৈয়দ আলীর মেয়ে। স্বামী দুলাল উপজেলার বুড়িমারী মুক্তির বাড়ি এলাকার ওসমান গনির ছেলে।১০ বছর আগে উপজেলার বুড়িমারীর মুকলিবাড়ির এলাকার ওসমান গনির ছেলে দুলাল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কালিরহাট টেপুরগাড়ি এলাকার সৈয়দ আলীর মেয়ে সাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। এরমধ্যে কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান।
স্বামী দুলাল হোসেন ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য সাহিদা বেগমকে নির্যাতন করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর স্বামী দুলাল হোসেন সঙ্গে স্ত্রী সাহিদা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন দুলাল। সাহিদা ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটে পড়ে। প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নির্বাহী সম্পাদক