Home » বঙ্গবাজারে আগুন: হাজারো মানুষ এর স্বপ্ন পুরে ছাই হয়ে গেলো

বঙ্গবাজারে আগুন: হাজারো মানুষ এর স্বপ্ন পুরে ছাই হয়ে গেলো

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে গেছে মার্কেটটির বেশিরভাগ দোকান। ঈদকে কেন্দ্র করে সব দোকানেই বিপুল পরিমাণ কাপড় মজুত করে রাখা হয়েছিল। আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ভয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কয়েকদিন আগে গোডাউনে ৭৫ লাখ টাকার মাল ওঠানো হয়েছে। ও ভাই, কিছু নাই, সব পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমার দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। গোডাউন, দোকান সব শেষ।

দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট কাজ করছে। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে লাগা এ আগুনে পুড়ছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। ঈদ সামনে রেখে অনেকে দোকানে নতুন কাপড় তুলেছেন। যা এখন আগুনে পুড়ছে। তাদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছেন আত্মীয়স্বজনরা। ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে আগুনের ধোঁয়ায় মালামাল সরাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোহেল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার তিনটা দোকান গোডাউন মিলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাল ছিল। মাল যায় যাক, কিন্তু আমার ৩০ লাখ টাকা সব শেষ।’ঘটনাস্থলের আশপাশের রাস্তায় চলছে ব্যবসায়ীদের আহাজারি। এক ব্যবসায়ী জানান, রমজানের কারণে সকালে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। আগুনের খবর পেয়ে এসে দেখি সব শেষ।এক জন জানান, সেখানে আমার তিনটা দোকান ছিল। ২৪ বছর ধরে আমি ব্যবসা করছি। ৪০ লাখ টাকার মাল ছিল। সব শেষ ভাই। আমি কাঁদতে ভুলে গেছি।

এসএম গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী সোহেল বলেন, কেঁদে কেঁদে সোহেল বলেন, আমার তিনটা দোকান গোডাউন মিলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাল ছিল। মাল যায় যাক, কিন্তু আমার ৩০ লাখ টাকা সব শেষ।আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদের আগে বেচাকেনার জন্য দোকানে মাল ঠাসা ছিল। কিন্তু একটি মালও রক্ষা করতে পারলাম না। ২০/২২ লাখ টাকার শার্ট, প্যান্ট। সব শেষ হয়ে গেছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *