ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে এখন খাদ্য সংকট না থাকলেও ক্যাম্পে ক্যাম্পে বিরাজ করছে ডিপথেরিয়া রোগ আতঙ্ক। দেড় মাস আগে থেকে ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াছে এই রোগ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের দেয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ মে পর্যন্ত ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৪৫০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ জন।
এছাড়াও এ রোগের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ১১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৯ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাম্পগুলোতে প্রধান রোগগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, বুলেট ইনজুরি উল্লেখযোগ্য। পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মাধ্যমে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন দশক আগে বিলুপ্ত হওয়া এই রোগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় রোহিঙ্গা ছাড়াও স্থানীয়দের মাঝে ডিপথেরিয়া আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানিয়েছেন, টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে এরই মধ্যে ডিপথেরিয়ার মূল ব্যাকটেরিয়া ‘করিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া’ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তাই আতংকের কারণ নেই। শীঘ্রই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় উখিয়ার ৪৮টি ও টেকনাফের ১২টি ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ১২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ অগাস্টের পর থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। এর আগেও তারা নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে এসেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে প্রায় নয় লাখ রোহিঙ্গা।