তুষার কিবরিয়া: গতকয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে,আমরা যারা একরামের জন্য মায়াকান্না করছি,তাঁর পরিবারের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছি,তাঁকে নির্দোষ দাবি করছি,এবং তাঁর হত্যার বিচার দাবি করছি। আমরা এখন এসব করছি কেন ?
মিডিয়া তো অনেক আগে থেকেই একরামকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের গডফাদার বলে সংবাদ প্রচার করেতেছিল।
তখন কেন একরামের পাশে দাঁড়ান নি?
তখন কেন একরাম কে নির্দোষ দাবি করেন নি?
তখন কেন এই সংবাদের প্রতিবাদ করেন নি?
মিথ্যা,ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা কি অপরাধ নয়?
মিথ্যা অপবাদ একজন মানুষকে কি সামাজিক ভাবে মৃত্যু ঘটায় না?
তখন কেন এই সংবাদপত্র ও মিডিয়া গুলোর বিপক্ষে প্রতিবাদ করেন নি??
তখন কি একরাম নির্দোষ ছিল না?
সংবাদ মাধ্যম মিডিয়া গুলোর এই ভিত্তিহীন, অসত্য সংবাদগুলোই প্রতিবাদ না করার ফলে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মিডিয়ায় সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই ভিত্তিহীন সংবাদ সামাজিক ভাবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যে কথাটি সামাজিক ভাবে সত্য, বিভিন্ন সংবাদপত্র, মিডিয়ায় সত্য, সে কথাটি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীর কাছে সত্য বলেই তথ্য থাকবে,এটাই স্বাভাবিক।
কে মাদক ব্যবসায়ী,
কে কি করেন, তা কারো শরীরে লেখা থাকে না।
বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনী গুলো তথ্য সংগ্রহ করে।
একরামের ব্যাপারেও হয়ত একইভাবে তথ্য নেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মিডিয়ায় ও সমাজিকভাবে একরাম মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় হয়ত গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনী গুলোর কাছেও মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদার হিসেবে তথ্য ছিল।
দেশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে তো আরো অনেককেই মাদক ব্যবসায়ী তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা করা হয়েছে।
যা সারাদেশে প্রশংসিতও হয়েছে।
তাহলে একরাম হত্যার পর, কেন সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে ?
কেন র্যাবকে দোষারোপ করা হচ্ছে ?
কেন চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে ?
টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যাকান্ডের জন্য সরকার বা র্যাব দায়ী নয়,বরং যারা অন্যায়ভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে তাকে সামাজিক ভাবে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তারাই দায়ী।
আমরা যারা একরামের শুভাকাঙ্খী, সহযোদ্ধা, একই চেতনায় বিশ্বাসী তারাও এই হত্যার দায় এড়াতে পারি না।
কেননা একরামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা,ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ আমরা করি নি বা করতে পারি নি।
যা হোক একরামুল হকের হত্যা আমাদের কে মর্মাহত করেছে,কষ্ট দিয়েছে,আহত করেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আমরা আর কোন একরামুল কে দেখতে চাই না।
তাই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াগুলো, মিথ্যা,ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে যাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় করেছে,অপবাদ
দিয়ে সামাজিক মৃত্যু ঘটিয়েছে,
আসুন সম্মিলিত ভাবে তাদের পাশে থেকে প্রতিবাদ করি,প্রতিরোধ করি। তাহলেই একরামুলের আত্মা শান্তি পাবে।
লেখক-
তুষার কিবরিয়া
সভাপতি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
নির্বাহী সম্পাদক