প্রায় এক বছর ধরে পড়ে আছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেড় কোটি টাকা দামের অত্যাধুনিক আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স।
পরিচালনার জন্য দক্ষ কর্মী ও লোকবল না পাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি কোনো কাজে আসছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ প্রাঙ্গণের এক কোণে সারিবদ্ধ গাড়ি। এর মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স একেবারেই অচল। খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পড়ে থাকতে থাকতে ওই দুটি গাড়ির রং উঠে গেছে। আইসিইউ সুবিধা সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি জং ধরা ওই দুটি গাড়ির পাশে রাখা হয়েছে। এরপর রয়েছে হাসপাতালের নির্ধারিত সাতটি অ্যাম্বুলেন্স। সেগুলো অবশ্য চলাচলের উপযোগী। তবে গাড়িগুলোর ওপরে কোনো ছাউনি নেই। সবগুলোই পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এর আগে প্রশাসনিক দফতরের একটি কক্ষের পাশে খোলা আকাশের নিচে রাখা ছিল আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি। সেখানে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সেখান থেকে জরুরি বিভাগের প্রাঙ্গণে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের একজন অ্যাম্বুলন্সচালক বলেন, এটি হাসাপাতালের সবচেয়ে দামি অ্যাম্বুলেন্স। দক্ষ চালক নেই। তাই এক বছর ধরে এভাবেই অচল পড়ে আছে।
হাসপাতালের যান পরিচালনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি গত বছরের ১৭ অক্টোবর বরাদ্দ দেওয়া হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে উন্নত প্রযুক্তির পালস অক্সিমিটার, ইসিজি মেশিন, সিরিঞ্জ পাম্প, ভেন্টিলেটর মেশিন, সাকার মেশিন, মনিটর, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে। এক বছরে এটি মাত্র একবার চালানো হয়েছিল। এরপর লোকবলের অভাবে আর চালানো যায়নি।
খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা প্রসঙ্গে যান পরিচালনা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, হাসাপাতালের গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তিনটি কক্ষ। সেখানে কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখা হয়। অ্যাম্বুলেন্স রাখার গ্যারেজ না থাকায় এটি খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে।