শেষ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। ২০০১ সালের নাইন-ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানে হামলার প্রায় ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগান রাজধানী থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মার্কিন সৈন্যর বিদায়ের সাথে সাথে তালেবান ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের বিজয় উদযাপন করেছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান মেরিন জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি কাবুল থেকে আফগান ও মার্কিনিদের শেষ দলকে সরিয়ে নেয়ার পর সোমবার পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেনজি বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দর থেকে মধ্যরাতের এক মিনিট আগে (ইএসটি সময় বিকেল ৩.২৯ মিনিট) সবশেষ বিমানগুলো ছেড়ে যায়।
তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ভয়েস অব আমেরিকাকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশী দখলদার বাহিনী কিছুক্ষণ আগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ বিমানগুলো চলে যাবার কথা জানানো হলেও, হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কাবুল থেকে আমেরিকান এবং সংকটে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিতে ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত’ সহায়তা অব্যাহত রাখবে। মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে নেবার ওই কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সর্ববৃহৎ কার্যক্রম হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
এর আগে, জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের আঞ্চলিক কার্যক্রমের ডেপুটি ডিরেক্টর সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম ‘হ্যাঙ্ক’ টেইলর সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে নেবার ক্ষমতা তাদের অব্যাহত আছে।
হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন জানিয়েছে, তালেবান আগষ্টের শুরুতে আফগানিস্তানের দখল নেবার পর আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫ হাজার আমেরিকানসহ মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ওই সময়কালে প্রায় ৬০০০ জন আমেরিকান আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ‘সেখানে এখনো অল্প সংখ্যক মানুষ রয়েছেন’ যাদেরকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
সূত্র : আল জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা