সম্পর্ক শেষ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা এসেছে বার্সেলোনার তরফ থেকে। অবসান হয়েছে লিওনেল মেসির সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সর্ম্পকের। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অবশ্য ‘ফ্রি অ্যাজেন্ট’ আর্জেন্টাইন তারকা। অর্থাৎ চাইলেই সমঝোতার ভিত্তিতে ভিড়তে পারতেন যেকোনো ক্লাবে।
তবে এতদিন পর্যন্ত খবর ছিল, বার্সাতেই থাকতে চান মেসি। এখন যেহেতু আর সেটি হচ্ছে না। তাকে আর রাখতে পারছে না কাতালান ক্লাবটি। তখন নতুন করে আলোচনায়, বার্সেলোনায় না খেললে কোন ক্লাবে যাবেন তিনি?
মেসির হাতে অবশ্য খুব বেশি বিকল্পও নেই। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, তাকে দলে ভেড়ানোর দৌড়ে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। আগে যতবারই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছেন মেসি, ঘুরেফিরে এসেছে তাদের নাম। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই।
তবে এর সঙ্গে আরও একটি সম্ভাবনার কথা বলছে মার্কা, হয়তো এমএলএসেও চলে যেতে পারেন মেসি। কারণ এই লিগেও মেসির বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু এখনও ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়েই মেসির খেলার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেক্ষেত্রে মেসির পছন্দের তালিকায় উপরে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সাম্প্রতি জ্যাক গ্রিলিশকে দলে ভেড়াতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে তারা। আগ্রহ দেখিয়েছে টটেনহ্যামের হ্যারিকেইনের জন্যও। তবুও মেসিকে নেওয়ার চেষ্টা নিশ্চয়ই তারা করবে। কারণ সাবেক শিষ্য মেসিকে যে অনেকদিন ধরেই চাইছেন ক্লাবটির বর্তমান কোচ পেপ গার্দিওয়ালা।
সব হিসাব মেলালে আর্জেন্টাইন তারকাকে দলে ভেড়াতে সবচেয়ে এগিয়ে পিএসজি। তবে তাদের জন্যও কাজটি সহজ নয়। প্রথমত তাদের এখন মূল লক্ষ্য কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো। এর সঙ্গে ফ্রান্সের ট্যাক্স দেওয়ার নিয়মও অন্যতম চিন্তার বিষয় ক্লাবটির জন্য।
মেসিকে ৩০ মিলিয়ন বেতন দিলে প্রতি বছর ক্লাবটির তার পেছনে খরচ হবে ৭০ মিলিয়ন ইউরো। তবে মেসি যেখানেই যান শেষ অবধি, বার্সার সমর্থকদের দেখতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না!
সূত্র : ঢাকাপোস্ট
বার্তা বিভাগ প্রধান