চলমান মহমা’রি পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করো’নায় নতুন আ’ক্রান্ত রোগীর হিসেবে শীর্ষে আছে যু’ক্তরাজ্য, অন্যদিকে প্রা’ণঘাতী এ রোগে মৃ’তের হিসেবে শীর্ষে আছে বর্তমানে করো’নার এশীয় কেন্দ্র (এপিসেন্টার) হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দেশ ইন্দোনেশিয়া।
মহামা’রি শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে এ রোগে আ’ক্রান্ত, মৃ’ত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারর্স এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের চার্ট আরও বলছে- বিশ্বজুড়ে কমছে করো’নায় আ’ক্রান্ত ও মৃ’ত্যুর সংখ্যা। গত দু’দিন ধরে এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রোববার বিশ্বে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮৯ জন এবং মা’রা গেছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। আগের দিন শনিবার প্রা’ণঘাতী এই রোগে আ’ক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৩ জন এবং ওই দিন করো’নায় মৃ’ত্যু হয়েছিল ৭ হাজার ১৯১ জন।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে নতুন আ’ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪২ হাজার ৮৭৪ জন এবং মৃ’তেরত সংখ্যা কমেছে ৪৯১ জন।
শনিবারের আগের দিন, শুক্রবার বিশ্বে করো’নায় আ’ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯০৯ জন এবং এ রোগে ওই দিন মা’রা গিয়েছিলেন ৮ হাজার ৬৩৬ জন।
হিসেবে দেখা যায়, শুক্রবারের তুলনায় শনিবার নতুন আ’ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার কম ছিল এবং মৃ’তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল দেড় হাজারের বেশি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারর্সের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করো’নায় নতুন আ’ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল যু’ক্তরাজ্যে। রোববার দেশটিতে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ১৬১ জন এবং এ দিন এ রোগে দেশটিতে মৃ’ত্যু হয়েছে ৪১ জনের।
অন্যদিকে, এশিয়ায় করো’নার এপিসেন্টার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইন্দোনেশিয়ায় রোববার ঘটেছে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃ’ত্যুর ঘটনা। এ দিন দেশটিতে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন ১ হাজার ৯৩ জন এবং এ রোগে আ’ক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২১ জন।
২৪ ঘণ্টায় করো’না সংক্রমণ ও মৃ’ত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থনে যৌথভাবে আছে ব্রাজিল ও ভা’রত। যু’ক্তরাজ্য-ইন্দোনেশিয়ার মতো চিত্র দেখা গেছে এ দু’দেশের ক্ষেত্রেও; অর্থাৎ, আ’ক্রান্তের হিসেবে এগিয়ে আছে ভা’রত, মৃ’ত্যুর হিসেবে ব্রাজিল।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, রোববার ভা’রতে করো’নায় আ’ক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ৩২৫ জন এবং মৃ’তের সংখ্যা ছিল ৫০১ জন।
অন্যদিকে ব্রাজিলে রোববার করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১২৬ জন এবং এ রোগে এ দিন দেশটিতে মৃ’ত্যু হয়েছে ৯৩৯ জনের।
এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশটির নাম রাশিয়া। রোববার বিশ্বের বৃহত্তম দেশটিতে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ১৮ জন এবং মা’রা গেছেন গেছেন ৭৬৪ জন।
এছাড়া আরও যেসব দেশে ২৪ ঘণ্টায় আ’ক্রান্ত ও মৃ’তের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে সে দেশসমূহ হলো- ই’রান (আ’ক্রান্ত ২২ হাজার ১৮৪, মৃ’ত্যু ১৯৫), কলম্বিয়া (আ’ক্রান্ত ১৮ হাজার ২০৬, মৃ’ত্যু ৪৭৬), মেক্সিকো (আ’ক্রান্ত ১২ হাজার ৬৩১, মৃ’ত্যু ২২৫) ও বাংলাদেশ (আ’ক্রান্ত ১১ হাজার ৫৭৮, মৃ’ত্যু ২২৫)।
রোববারের পর বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে মোট ১ কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার ৬৪২ জনে। এদের মধ্যে এই রোগের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার ১১১ জন এবং গুরুতর অবস্থায় আছেন ৮০ হাজার ৫৩১ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহমা’রি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯ জন এবং এ রোগে মৃ’ত্যু হয়েছে মোট ৪১ লাখ ৫ হাজার ৩৭৭ জনের।
তবে এ রোগে আ’ক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। রোববার বিশ্বে করো’না থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬ জন এবং মহামা’রি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করো’নায় আ’ক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভ-২ ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সাধারণভাবে এই ভাই’রাসটি পরিচিতি পায় নতুন বা নভেল করো’নাভাই’রাস নামে। করো’নায় প্রথম মৃ’ত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছে উহানেই। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তখন জানানো হয়েছিল, ‘অ’পরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আ’ক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মা’রা গেছেন।
এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাই’রাসের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই বছর ১১ মা’র্চ করো’নাকে মহামা’রি ঘোষণা ডব্লিউএইচও।
বার্তা বিভাগ প্রধান