ডেস্কনিউজ:
উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে রাখাইন উপকূল অতিক্রম করছে। লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-৩ এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উত্তর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা সুজিত কান্তি রায় বলেন, ‘উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কিউপিয়াক ও সিট্টুর মধ্যদিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন উপকূল অতিক্রম করছিলে। এটি আজ (৩০ মে) ভোরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে রাখাইন উপকূল অতিক্রম করবে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।’
এর আগে রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বরাতে তিনি জানান, লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হতে পারে।
লঘুচাপের কারণে সাগর, উপকূলীয় এলাকা ও বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চল গুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানান সুজিত কান্তি রায়।
বার্তা বিভাগ প্রধান