গত ৯ জুলাই (শুক্রবার) সুরমা গেটে হেলমেটবিহীন ৩ জন আরোহীসহ একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল পুলিশ আটকালে ফয়ছল কাদির (৪০) নামের চালক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে যেতে যান। এসময় পুলিশ তাকে বাঁধা দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজের ফেসবুক থেকে লাইভ শুরু করেন এবং পুলিশকে উদ্দেশ্য করে নানা কথা বলতে থাকেন।
এ ঘটনায় ফয়ছল কাদিরেরর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিলেটে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিষয়টি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকেলে সিলেট শাহপরাণ থানাধীন সুরমা গেইট এলাকায় সার্জেন্ট মো. নুরুল আফসার ভূইয়ার নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউনকালীন ডিউটি পালন করছিলেন একদল পুলিশ সদস্য। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের দিক থেকে আসা সিলেট শহরমুখী হেলমেটবিহীন ৩ জন আরোহীসহ একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে চালক ফয়ছল কাদিরের নিকট গাড়ির কাগজপত্র এবং হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে আরোহন করার কারণ জানতে চায় পুলিশ। এসময় তিনি গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন না করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।
সার্জেন্ট মো. নুরুল আফসার তখন মোটরসাইকেলটি রেকার স্লিপের মাধ্যমে জব্দ করেন এবং অতিরিক্ত যাত্রীবহন, হেলমেটবিহীন আরোহন, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন গাড়ি চালনার অপরাধে মামলা দায়ের দেন এবং মোটরসাইকেলটি পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়ছল কাদির ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রায় ১৫ মিনিট লাইভ করে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অস্থির ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেন এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম করেন।
পরবর্তীতে ফেসবুকে অপপ্রচারের ঘটনায় ফয়ছল কাদিরের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (নং- ৫) রোববার (১১ জুলাই) দায়ের করেছেন সার্জেন্ট মো. নুরুল আফসার।
এ মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়ছল কাদিরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বার্তা বিভাগ প্রধান