মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিকেল পাঁচটার পর দোকান খোলা রাখায় ১০ ব্যবসায়ীকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (০২ জুলাই) বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত লায়লা নীরা। এসময় জুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেছে বিজিবি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার কথা। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিকেল পাঁচটার পরেও দোকানপাট খোলা রেখে বেচাকেনা করছেন। শুক্রবার বিকেলে লকডাউন কার্যকরে অভিযানে নামেন বড়লেখা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূসরাত লায়লা নীরা। এসময় উপজেলার কাঠালতলীর মাহমদ ত্বকী বাজার, দক্ষিণভাগ বাজার ও পৌরশহরের হাজীগঞ্জ বাজারে বিকেল পাঁচটার পর ১০টি দোকান খোলা পাওয়া যায়। এসময় এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদেরকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত লায়লা নীরা জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে বলেন, লকডাউনে সরকারিবিধি অমান্য করে বিকেল পাঁচটার পর দোকান খোলা রাখায় ১০ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সরকারি ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বড়লেখায় শুক্রবার (০২ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাইরে অবস্থান করায় ৪ জনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর সিলেট সেনানিবাসের ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন মো. মাহাদী হাসান, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) সুব্রত কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান