আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি আইসোলেশনে থাকতে চাইছেন। সুস্থ হলে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলবেন। শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে আবু ত্ব-হার বাড়িতে গেলে এসব তথ্য দেন তার ভাগনে সিরাজুল ইসলাম।
নগরের সেন্ট্রাল রোডের বাড়িতে গেলে আবু ত্ব-হার মা আজেদা বেগম এবং বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম সংবাদকর্মী পরিচয় জেনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ত্ব-হার প্রথম স্ত্রী আবিদা নুরের বাবার বাড়ি নগরীর আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টারপাড়ায় গিয়েও তাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, ত্ব-হা সুস্থ হয়ে নিজে থেকে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এর আগে শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের মাধ্যমে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ তার সঙ্গীদের নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দেন। আবু ত্ব-হার আরেক সফরসঙ্গী ফিরোজ আলমের নিখোঁজের জিডি তার পরিবার থেকে তুলে নেওয়ায় ফিরোজকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
নিখোঁজ থাকার আটদিন পর আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানকে তার প্রথম স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১০ জুন বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে ঢাকার পথে রওনা হন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ। পরে তারা ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছালে ত্ব-হার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সেখান থেকে গাইবান্ধা সদরের ত্রিমোহনীতে চলে আসেন। সেখানে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় বন্ধু সিয়াম বাসায় ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, ওই বাড়িতে অবস্থানকালে ত্ব-হার ইচ্ছাতেই সবাই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। কিছুদিন এভাবে আত্মগোপনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ত্ব-হা আত্মগোপনে থাকতে চান বলে সঙ্গীদের জানান এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলেন। তার কথায় রাজি হয়ে বাকিরাও স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে ত্ব-হাসহ তার দুই সঙ্গীকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান, তার সঙ্গী আব্দুল মুহিত আনসারী ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ।
পরে বিচারক তাদেরকে পরিবারের উপস্থিতিতে নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন। ওই সময়ে মা-মামাসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে নীরব ছিলেন আলোচিত আবু ত্ব-হা। মুখ খোলেননি তার সঙ্গী আব্দুল মুহিত ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাবও দেননি।
আবু ত্ব-হা নিখোঁজের ঘটনায় রংপুরে দুটি জিডি করা হয়েছিল। তার মা আজেদা বেগম একটি জিডি করেন এবং তার সঙ্গে নিখোঁজ থাকা আমির উদ্দিনের ভাই ফয়সাল আরেকটি জিডি করেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান