সিলেট নগরী ও আশেপাশে মাত্র ১ মিনিটের ব্যবধানে সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় দু’দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দফায় দফায় ভূমিকম্পে নগরীর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে সাময়িকভাবে পরিচিত কারো টিনশেডের বাসায় অবস্থান করছেন। আবার অনেকে নগরী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতেও চলে যাচ্ছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের পর থেকে নগরীতে নেই মানুষের সমাগম। চারিদিকে যেন সুনশান নিরবতা। আতঙ্কে নীরব হয়ে উঠছে সিলেট নগরী।
এর আগে ২৯ ও ৩০ মে ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞরা ৭ থেকে ১০ দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের সতর্ক বার্তার নয় দিনের মাথায় সোমবার আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হলো। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিট ১ সেকেন্ডে ও ৬টা ৩০ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। সিলেট অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমকি ৮। সিলেটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে।
এদিকে, ভূমিকম্পে সিলেট নগরীর রাজা গিরিশচন্দ্র (জিসি) স্কুল ভবনে ফাটল দেখা দেয়। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটে দুই দফা ভূমিকম্পের পর নগরীর বন্দরবাজার এলাকার ওই স্কুল ভবনে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। এতে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়। শতবর্ষি এই বিদ্যালয়ে ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন প্রখ্যাত দানশীল ও শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশ চন্দ্র। এছাড়া ভূমিকম্পে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একটি বহুতল বিপনী বিতান হেলে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মিলেনিয়াম শপি সিটি নামের ওই ভবনটিকে ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মিলেনিয়াম শপিং মল হেলে পড়ার খবর সত্য নয়। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান