কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সিলেটে গত সপ্তাহে তিন দিনের ব্যবধানে ৪৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা বেড়ে বুধবার (২ জুন) খুচরো বাজারে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে শুক্রবার (৪ জুন) থেকে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। সিলেটের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই গত সপ্তাহে আমাদেরও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টা পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বাজেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রতি বছর এই সময়ে ভারতের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু করোনার কারণে কয়েক মাস ধরেই পেঁয়াজ আসছে না। এছাড়াও পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সব কিছু মিলেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সিলেটের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে সিলেটের সবচেয়ে বড় আড়ত কালীঘাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নিলাঞ্জন দাস টুকু বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়ে পাইকারিতে বাজারে ৬০ ও খুচরো বাজারে ৭০ টাকা পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো। তবে গতকাল শুক্রবার থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। আজ শনিবার পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা।
তিনি বলেন, আমাদের পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে না- এমন খবরে মুহুর্তে দাম বেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার ভারতের পেঁয়াজ আসার খবরেই শুক্রবার থেকে দাম কমতে শুরু করেছে
বার্তা বিভাগ প্রধান