কোভিড-১৯ঃ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাই, কোনো শিক্ষার্থী যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে। আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার দিবাগত রাত থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা আজ ৩০ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
এর আগে করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশের চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথা বলেছিলেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভারতীয় ভেরিয়্যান্টও ধরা পড়ছে এলাকাভেদে। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বিবেচনায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের কার্যক্রমের ওপর চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো যেতে পারে।
প্রতিনিধি