উখিয়ার বৃহত্তম রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের আদর সোহাগ ও কথা বলে ঘন্টাব্যাপী কাটালেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এ সময় তিনি শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিশেষ করে ক্যাম্পভিত্তিক গড়ে উঠা ইউনিসেফ কর্তৃক বিভিন্ন চাইল্ড কেয়ার কেন্দ্র গুরুত্ব সহকারে প্রত্যক্ষ করে সেখানে বেড়ে উঠা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক, শারীরিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা নেন।গতকাল বুধবার সকালে জামতলি, বাঘঘোনা, ময়নারঘোনা ও বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। এ সময় ক্যাম্পে কর্মরত ইউনিসেফসহ বিভিন্ন এনজিও’র কর্মকর্তারা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে স্বাগত জানান। পরে এ অভিনেত্রী কুতুপালং ক্যাম্পের অলিগলি ঘুরে ঘুরে রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া ও পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন এবং প্রচণ্ড গরমে পলিথিনের ঝুপড়িতে রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের বসবাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে আলাদাভাবে কথা বলেন। এ সময় প্রিয়াঙ্কা রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেন যে, তারা যাতে মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে সেখানে পূর্ণ নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারে সেজন্য ইউনিসেফের নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সাথে কথা বলবেন।”
“পরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ইউনিসেফ ও কোডেক পরিচালিত কুতুপালং চাইল্ড কেয়ার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রিয়াঙ্কা কেন্দ্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অংকন করা বিভিন্ন চিত্র দেখেন, তাদের সাথে কথা বলেন। জানতে চান তারা কেমন আছে? জবাবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা জানায়, তারা এখানে মিয়ানমারের চেয়ে ভাল আছে।”
তবে স্বদেশে ফিরে যেতে পারলে আরো ভালো হতো। তখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শিশুদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা এখানে পড়ালেখা, খেলাধুলা করতে থাকো। আমি তোমাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করবো।”
“প্রিয়াঙ্কার সাথে থাকা রোহিঙ্গা নেতা ফয়সাল আনোয়ার জানান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শিশুদের প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”ইত্তেফাক