নয়াদিল্লি :
বিশ্বজুড়ে চলছে কালান্তক করোনার কালবেলা। দেশজুড়ে মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো বিপর্যস্ত জনজীবন। দিন যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়িয়ে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র। এই অবস্থায় দেশ সহ গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যপরিষেবা নিয়ে আলোচনা করতে ৮ মে
শনিবার ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, শনিবারের এই ভার্চুয়ালি বৈঠকে ভারত সহ ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মোট ২৭ টি দেশ এই আলোচনায় সভায় অংশ নেবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই প্রথমবার ভার্চুয়ালি বৈঠকে ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা এবং করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যপরিষেবার পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনায় বসবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা।
এর আগে অতীতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের বৈঠকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা মোট দু’ঘণ্টা আলাপ আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অতিথি দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক কোন দিকে এগোয় তার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে আগামী ৮ মে অতিথি দেশ হিসেবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা যায়, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেলের আহ্বানে আগামী ৮ মে এই বৈঠকে অতিথি দেশ হিসেবে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে শুধু ভারত নয়, এই কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিশ্বের আরও ২৭ টি দেশ। এই দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা মাঝেমধ্যেই এই বৈঠকে বসেন। আলোচনা হয় আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, স্বাস্থ্যসেবা এবংং জলবায়ু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে।
অন্যদিকে ৮ মে এই ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন পোর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তেনিও কোস্তা। কারণ, বর্তমানে তিনিই এই কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, এর আগে এই বৈঠকে অতিথি দেশ হিসেবে যোগ দিতে পর্তুগাল যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু করোনা অতিমারীর কারণে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফলে এই অবস্থায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে অতিথি দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশে যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমনটাই আশঙ্কা কেন্দ্রের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এমন অবস্থায় তৃতীয় ঢেউয়ের কথাও জানাল কেন্দ্র। এর কোনও সময়ও জানাচ্ছে না বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও সময়েই তা আছড়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানী, কে বিজয়রাঘবন সরকারি বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে ভাইরাস যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে স্পষ্ট সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে আর বেশি দেরি নেই। তবে কবে এবং কীভাবে সেই ঢেউ আছড়ে পড়বে তা এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়’।
নির্বাহী সম্পাদক