দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। রোজকার রেকর্ড হারে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকাকরণ অভিযানকেই মূল হাতিয়ার করছে সমস্ত মহল। তবে সেই ভ্যাকসিন কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে সব পরিস্থিতিতে তা ১০০ শতাংশ সুরক্ষার গ্যারান্টি দিতে পারে না। একজন মানুষ একবার করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠলে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার নজিরও অহরহ দেখতে মিলছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন সঠিক জীবনধারা। যা দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক,যারা মারণ ভাইরাসকে পরাজয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু সতর্কবার্তা-
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন একজন ব্যক্তি করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলেই তাকে অতি শীঘ্রই নিজের টুথব্রাশটি বদলে ফেলা উচিত। এর ফলে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে তাকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি একই ওয়াশরুম ব্যবহার করা পরিবারের বাকি সদস্যদের কেও সুরক্ষা দেবে। এই মর্মে নয়া দিল্লির লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ প্রদীশ মেহরা জানালেন যে, ‘আপনি বা আপনার পরিবারের কোনও সদস্য বা বন্ধু যদি মারণ ভাইরাসের করালগ্রাসে এসে সুস্থ হয়ে উঠেন, তাহলে তাকে অবিলম্বে নিজের টুথব্রাশ ও মাউথ ফ্রেশনার পরিবর্তন করা উচিত। এককথায় ফেলে দেওয়া দরকার।’ এমনকি এই একই পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যান্য চিকিৎসকরাও।
এর পিছনের বিজ্ঞান কী ?
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের টুথব্রাশ, মাউথ ফ্রেশনার জাতীয় অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যাবহার করা সামগ্রী অবিলম্বে বদলানোর এই পরামর্শের পিছনের কারণ জানতে, আপনাকে আগে বুঝতে হবে মারণ কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন আগেই জানিয়েছে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি কাশি, হাঁচি, চিৎকার, কথা বলা, হাঁসির সময় মুখ থেকে নির্গত ক্ষুদ্র ফোঁটা গুলির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাই মানুষদের প্রয়োজন সেই দূষিত হাতগুলি সংক্রমণ মুক্ত না করে নাক বা মুখ স্পর্শ না করা। এছাড়াও এই ভাইরাস বায়ুবাহিত।
এমন পরিস্থিতিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির টুথব্রাশ বা মাউথ ফ্রেশনার থেকে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। যার ফলে কোনও ব্যক্তি পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি, বাকিরাও তা থেকে সংক্রমিত হতে পারে। এমনকি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সব জিনিসই ওয়াশরুমের বাকিদের জিনিসগুলোর থেকে আলাদা রাখা উচিত বলেও চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন।
নির্বাহী সম্পাদক