কলকাতা :
রাত ভর বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত। তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেল কলকাতার। স্বাভাবিকের অনেকটা নিচে নেমেছে তাপমাত্রা। এমনটা যে হবে তা আগেই জানায় হাওয়া অফিস।
রবিবার থেকেই পূর্বাভাস মতো এমনই আবহাওয়া চলছে। রবিবার আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছিল দুপুর থেকে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়। তারপর জেলায় জেলায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। কলকাতাতেও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় রাতভর। সকালেও হচ্ছে বৃষ্টি।
এর জেরে শহরের সকালের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গিয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৩ সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৭ মিলিমিটার।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসই, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ সর্বনিম্ন ৩৮ শতাংশ।
কিন্তু কীভাবে কেন এই পরিস্থিতির তৈরি হল? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে তার সঙ্গে একটি অক্ষরেখাও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর। এই দুয়ের জেরে দুই থেকে ৬মে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণেl আর্দ্র বাতাস প্রবেশ করে। এর জেরেই টানা পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
৩ মে থেকে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। ৪ মে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের অন্য সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পাঁচ এবং ৬ তারিখও একই পরিস্থিতি জারি থাকবে। সঙ্গে সর্বত্র থাকবে ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব।
নির্বাহী সম্পাদক