সিলেটের বিশ্বনাথে গুলি করে উপজেলার শাহজালাল ঘাঘুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর (১৭)’কে হত্যার ঘটনায় চৈতননগর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার পুত্র বহুল আলোচিত সাইফুল আলমকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৩মে) নিহত স্কুল ছাত্রের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৪ (তাং ৩.০৫.২১ইং)। মামলায় সাইফুলসহ ২৭ জনকে এজাহারনামীয় ও আরো ১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান অভিযুক্ত আলোচিত সাইফুল আলমকে হন্যে হয়ে খুঁজছে থানা পুলিশ। আর সে (সাইফুল) যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তার বাড়ি থেকে দুটি পাসপোর্ট এবং চাউলধনী হাওর পুনঃখনন কাজে ব্যবহৃত স্কেবেটর মেশিন জব্দ করেছে থানা পুলিশ।
পাসপোর্ট ও স্কেবেটার মেশিন জব্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা জানান, প্রধান অভিযুক্তসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে এঘটনায় আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামের আরো ১জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আনোয়ার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পশ্চিম গড়গড়ি গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র। এর পূর্বে ঘটনার পরপরই উপজেলার চৈতননগর গ্রামের মৃত ক্বারী মনোহর আলীর পুত্র আশিক উদ্দিন, মৃত হাজী নিয়াম উল্লাহর পুত্র ইলিয়াস আলী, জয়নাল আবেদীন ও আব্দুন নূর’কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১ মে) বিকেলে উপজেলার ‘চৈতননগর-ইসলামপুর-টুকেরবাজার সড়ক’ ভরাটের জন্য নজির উদ্দিন পক্ষের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বকভাবে সাইফুল আলম পক্ষ গংরা মাটি কাটতে শুরু করেন। এসময় নজির উদ্দিন পক্ষের পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক মাটি কাটায় নিষেধ দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষ চলাকালে আলোচিত সাইফুল আলমের করা গুলিতে নজির উদ্দিনসহ তার পক্ষের ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে নজিরের ভাতিজা ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমেল আহমদ শুকুর মৃত্যুবরণ করেন এবং নজির উদ্দিন, তার (নজির) ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির উদ্দিন ও মানিক উদ্দিন (নিহত সুমেলের পিতা), ভাতিজা সালেহ আহমদকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিনিধি