মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করছে না বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। মার্কেটে প্রবেশ পথে রাখা নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। আর তিন ফুট দূরে দূরে অবস্থান করার শর্ত উড়ে চলে গেছে বহু আগে। একজনের গায়ের ওপরে আরেকজন। মার্কেটগুলোয় এ চিত্র এখন দৈনন্দিন। তিনি বলেন, ‘তাই সরকার কঠোর অবস্থানে। রাজধানীসহ দেশের যে কোনও মার্কেটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা মাস্ক না পরলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন এই ব্যবস্থা নেবে।’
সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মার্কেটে আসা লোকজন এবং মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে কর্মরত বিক্রেতারা অনেকেই মাস্ক ব্যাবহার করছেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকেই অস্বস্তি ও গরমের অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। এতে সংক্রমিত হচ্ছে করোনা। বিষয়টি দোকান মালিক সমিতির সভাপতিকে জানানো হয়েছে। তিনি সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
লকডাউনের (বিধিনিষেধ) সময় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আর বলেন, ‘আজ থেকে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন— তারা দেশের প্রত্যেকটি মার্কেট পরিদর্শন করবে। কোনও মার্কেটে এত লোক হয়তো কন্ট্রোল করা যাবে না, কিন্তু মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে, প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেবো। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেওয়া হয়েছে।’
বার্তা বিভাগ প্রধান