দু’জনেই দাবি করেছিলেন ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু বেলা যত গড়াচ্ছে তত দেখা যাচ্ছে বাংলা নিজের মেয়েকেই চাইছে। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসন পার করে এগোচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এমনই আভাস দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার হিসাবে মমতা জিততে চলেছেন ২০৭ আসন। বিপরীতে বিজেপি পেতে পারে ৮১টি। একই হিসাব দিয়েছে এবিপি আনন্দ। অবশ্য বুথফেরত সমীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখলেও এতটা এগিয়ে রাখেনি।
নন্দীগ্রামে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছিয়ে পড়েছেন। অবশ্য সবেমাত্র চার-পাঁচ রাউন্ড গণনা হয়েছে। তার মধ্যে ছিল আবার ব্যালট গণনা। সবার চোখ নন্দীগ্রামে আটকে থাকলেও রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখতে চলেছে বলে প্রাথমিক ইঙ্গিত মিলেছে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সারা রাজ্যের প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসন ছাড়িয়ে এগিয়ে চলেছে। তৃতীয়-চতুর্থ রাউন্ডের শেষে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগার পার করেছে। এমনকি পার করে এগিয়ে চলেছে। আর বিজেপি তিন ডিজিট থেকে নেমে দুই ডিজিটে চলে এসেছে। সেদিক থেকে মিলে যেতে পারে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের অঙ্ক। কারণ, তিনি বলেছিলেন ‘বিজেপি দুই অঙ্ক পার করবে না। যদি করে তাহলে আমি এই পেশা ছেড়ে দেবো।’
হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস ২০৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর বিজেপি এগিয়ে ৮৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট মাত্র ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এ অবস্থায় অমিত শাহরা যে বারবার দাবি করছিলেন ২০০ আসন নিয়ে বাংলায় পরিবর্তনের সরকার গড়বে বিজেপি, তা কার্যত ব্যর্থ হতে চলেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা যাচ্ছে তৃতীয় শক্তি নিঃশেষ হতে চলেছে। বাম-কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকট তীব্রতর হতে চলেছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৭৭টি আসন। সেই নিরিখে এখন অস্তিত্ব রক্ষাই সংকট হয়ে দাঁড়াচ্ছ। যত ভোট গণনা এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবধান বাড়াচ্ছে। এই ফলই যদি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়, তাহলে বিজেপিকে যে বাংলা রিজেক্ট করেছে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান