মুম্বই:
নায়িকা মানেই সে হবে সুন্দরী তরুণী এবং নিখুঁত। রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী তাঁকে হতেই হবে। তাঁকে পর্দাতে দেখলেই শত হৃদয়ে বিদ্যুৎ খেলে যাবে। বুকে উঠবে ঝড়। মনের দরজায় কড়ার নরচর। চোখের চাউনিতে জ্বলে উঠবে স্ফুলিঙ্গ, ঠোঁটের হাসিতে যেন বাগানে বসন্ত। এই সমস্ত ধারণাকে অনেকদিন আগেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন টলিউড থেকে বলিউডের অভিনেত্রীরা। তবে তাও কিছু মানুষের মুখ বন্ধ করা খুবই কঠিন।
পর্দার নায়িকারাও যে আমাদের মতন মানুষ তা বুঝতে চায় না অনেকেই। বয়সের স্রোতের ছায়া যে তাঁদের শরীরেও পড়বে আর এটাই যে কালের নিয়ম তা বোঝাবে এমন সাধ্য কার। এ কথা ঠিকই, অনেক নায়িকাই মেক আপের সাহায্যে তা বুঝতে দেন না। কিন্তু এই সবেই যেন অভ্যস্ত আমরা। এবার আসি কেন এতগুলো কথা বলা হলো। আসলে অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অত্যন্ত ট্রোলিং এর শিকার হয়েছেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বড় পর্দায় তাঁকে দেখা যায়নি। সময়ের সাথে মাথার চুলে পাক ধরেছে, কপালে পড়েছে ভাঁজ,গালে বলিরেখা ও ব্রণ।
তবে এই সমস্ত কিছুতেই কুছ পরোয়া নেই বলে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। আর তারপর যখন ট্রোলিং হয়, তিনি পাল্টা আর একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর নিচে তিনি ক্যাপশন দেন,’ আমি কখনই এমন কমেন্ট যাঁরা করে তাঁদের পাত্তা দিই না। আপনাদেরও করা উচিত নয়। নিজের মতন থাকো। গ্রে হেয়ার ডোন্ট কেয়ার। নো গালি ওনলি তালি।’
তবে এরপরেই ঘটল আসল মজার ব্যাপারটা। সমীরর সমর্থনে এগিয়ে এলেন তাঁর শাশুড়ি মঞ্জরী ভার্দে। সমীরাকে প্রশংসা করে বৌমার ছবিতে তাঁর মজার কমেন্ট, ‘বুদ্ধি ও রসবোধ বাড়ার অন্যতম লক্ষণ পাকা চুল!’। বৌমার প্রতি শ্বাশুড়ীর এই সমর্থন দেখে আপ্লুত নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই বলেছেন এমন শাশুড়ি পাওয়া ভাগ্যের। এছাড়া মঞ্জরি ভার্দের রসবোধের প্রশংসা করেছেন সবাই
নির্বাহী সম্পাদক