Home » প্রথমে বিজ্ঞানী তারপর সিরিয়াল কিলার! কে এই নারী

প্রথমে বিজ্ঞানী তারপর সিরিয়াল কিলার! কে এই নারী

শুধু আজ থেকে নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন হাজার হাজার বছর আগেই শুরু হয়েছে। তবে তার আগে ছিল আয়ুর্বেদের শেকড়বাকড় দিয়ে চিকিৎসা।

এই ভেষজ চিকিৎসায় অনেকেই নিজেদের জন্যে আলাদা স্থান তৈরি করতে পেরেছেন। তেমনি একজনের ভেষজ বিজ্ঞান ছিল তার নখদর্পণে যার নাম লোকাস্টা।

চিকিৎসা করে মানুষকে সুস্থ করার বদলে বিষপ্রয়োগ করে মানুষ মারাটা একসময় নেশার পর্যায়ে চলে যায় তার। রোমের গল প্রদেশের বাসিন্দা এই নারী নানা বিষ নিয়ে গবেষণা করছিলেন।

প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যর চতুর্থ রাজা ছিলেন ক্লডিয়াস। নিজেরই ভাইঝি এগ্রিপিনা দ্য ইয়ঙ্গার’কে বিয়ে করেন তিনি। এদিকে রানীর মতলব ছিল অন্য।

 

রাজকীয় উচ্চাশার পাশাপাশি ক্লডিয়াসকে সরিয়ে নিজের ছেলে নিরোকে রোমের সিংহাসনে বসানোই ছিল তার লক্ষ্য। এর জন্যে রাজাকে হত্যা করার পরিকল্পনাটা করলেও কাজটা মোটেও সোজা ছিল না।

অসম্ভব বুদ্ধিমান আর দূরদর্শী ছিলেন চরিত্রের এই রাজাকে হত্যা করতে রানীর পাশে দাঁড়ালেন এই চিকিৎসা বিজ্ঞানে পারদর্শী লোকাস্টা। রাজার খাদ্যাভ্যাস জেনে রানী তাকে এমন বিষ বানাতে বলেন যা অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়বে শরীরে।

ডেথ ক্যাপ নামের এক বিষাক্ত মাশরুম খাওয়ানো হলো রাজাকে। আবার যাতে পালক গলায় ঢুকিয়ে বমি করলেই নিষ্ক্রিয় হয়ে না পড়ে এই বিষ তাই পালকের ডগায় দেওয়া হলো এই বিষ।

বিষের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুহূর্তে নীল হয়ে গেল রাজার শরীর। ডাক্তার ডেকে আনলে তিনিও ফন্দি এঁটে শরীরে ঢুকিয়ে দিলেন বিষ। শেষমেশ রক্ষা না পেয়ে নিজের ঘরেই ছটফট করতে করতে মারা গেলেন সম্রাট ক্লডিয়াস।

এরপর ক্লডিয়াসের ছেলে ব্রিটানিকাসকে মারতে গরম জলে ওয়াইন মিশিয়ে খেতে দেওয়া হলো তাকে। ভীষণ গরম ওয়াইন হওয়ায় জিভ প্রায় পুড়ে গেলো তার।

কোনোক্রমে ঠাণ্ডা জল গলায় ঢাললেও মুক্তি পেলো না সে। কেননা সেই ঠাণ্ডা জলের পাত্রেও বিষ মিশিয়ে রেখেছিল লোকাস্টা। এরপর নিজের গবেষণা চালাতে রাজার কারাগার থেকে বন্দিদের পাঠানো হতো তার কক্ষে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *