এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে কার্যকরী জিনিস যে ভ্যাকসিন তা নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে। তবে এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ঘাবড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজন। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি দেখে বোঝা যায়, এই ভ্যাকসিনটি দেহে কাজ শুরু করেছে।
একটি মার্কিন নিউজ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, হাতের ওপরে দেওয়া এই ভ্যাকসিন কয়েকটি লক্ষ্মণে জানান দেয়। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে কিছুটা ব্যথা ও শীত অনুভূত হতে পারে। এমন হলে বুঝতে হবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত কাজ শুরু করেছে।
ভ্যাকসিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ায় কিছু ব্যক্তির দেহে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইনজেকশনের জায়গা লাল হয়ে যাওয়া, ফোলাভাব, মাথা ব্যথা, পেশী ব্যথা, জ্বর, সর্দি এবং বমি বমি ভাব ইত্যাদি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে।
ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এবং ঠাণ্ডা লাগতে পারে। কিন্তু এই সমস্ত লক্ষ্মণ একদিন পরেই চলে যায়। কিছু লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে আরও নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
অনেকেই জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ভ্যাকসিন স্থলে লাল র্যাশ দেখা যেতে পারে। তবে এতে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর অর্থ হল আপনার শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে।
যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে জ্বর বা ক্লান্তির মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে জল খান ও বিশ্রাম নিন। যদি ভ্যাকসিন স্থল একটু ফুলে যায় তবে একটু ঠাণ্ডা দিয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিন।
ভ্যাকসিন নিলেও মনে রাখবেন মাস্ক পরতে হবে, ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলুন, পাশাপাশি শারিরীক দূরত্ব মেনে চলতে হবে ও টাইম মতো স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক