বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম বাহিনী হল ভারতীয় বায়ুসেনা। বর্তমানে নিজেদের ঢেলে সাজাচ্ছে এই বাহিনী। আসছে নতুন অস্ত্রশস্ত্র। প্রয়োগ করা হচ্ছে আধুনিকতম প্রযুক্তি। আর এই নতুন সাজসজ্জা রীতিমত বিপাকে ফেলতে পারে শত্রুদের। নয়া প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ফিফথ জেনারেশন এয়ারক্রাফট, কমব্যাট এয়ারক্রাফট, ড্রোন ইত্যাদি।
দেখে নেওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার পাঁচটি প্রজেক্ট যা বায়ুসেনাকে বিশ্বের এক নম্বরে স্থানে পৌঁছে দিতে পারে।
1. HAL অ্যাডভান্স মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট
(AMCA, 5th Generation Fighter Aircraft – IAF)
এটি হল ফিফথ জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট, যা তৈরি করবে HAL. বর্তমানে কেবলমাত্র আমেরিকার কাছেই এই ধরনের একটি এয়ারক্রাফট রয়েছে। ভারতে কাছে এটি এলে ভারত বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত হবে, একটি যাদের কাছে এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এয়ারক্রাফট রয়েছে।
এতে থাকবে সব ফিফথ জেনারেশন ফিচারস, যেমন- সুপার ক্রুজ, AESA র্যাডার। এই প্রজেক্টে মোট বরাদ্দ ৯০০০ কোটি টাকা। আর এই খরচ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কারণ, ভারতের শত্রু দেশ চিন ২০১৮ থেকে চালনা করবে চেংডু জে ২০ এয়ারক্রাফট।
2. Sukhoi/HAL ফিফথ জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট
এটি একটি মাল্টি রোল ফাইটার। এই প্রজেক্টে যৌথভাবে কাজ করছে ভারত ও রাশিয়া। বর্তমানে ভারতীয় বায়ু-সেনায় থাকা T-50-র বিকল্প হিসেবে আনা হচ্ছে এটি। এটি এমন একটি এয়ারক্রাফট যাতে আগে থেকেই আকাশ থেকে আকাশ, আকাশ থেকে ভূমি ও আকাশ থেকে জাহাজে হামলা চালানোর মিসাইল ফিট করা রয়েছে।
এটিতে এয়ারক্রাফটের মধ্যেই থাকবে রিফুয়েলিং করার ব্যবস্থা। যদিও অন্য ট্যাংকার থেকে রিফুয়েল করার অপশনও থাকবে। এই ফাইটার জেটের জন্য খরচ হবে ৬০০ কোটি ডলার। ভারত এর ৩৫ শতাংশ খরচ বহন করবে।
3. লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার
এই লাই কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করছে HAL. একটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ চালানোর ক্ষেত্রে এই হেলিকপ্টার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কার্গিল যুদ্ধের পরই এই প্রজেক্টের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কারণ ওই যুদ্ধের সময় অত উঁচুতে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের প্রয়োজন ছিল সবথেকে বেশি। যে যে ক্ষেত্রে এই হেলিকপ্টার ব্যবহার হতে পারে সেগুলি হল কাউন্টার সারফেস ফোর্স অপারেশন, সন্ত্রাস বিরোধী হামলা, অ্যান্টি ট্যাংক রোল, নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক অপারেশন।
4. HAL রুদ্র
এটি একটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা তৈরি করছে HAL. এই সশস্ত্র হেলিকপ্টার, যার মধ্যে থাকবে ২০ এমএম টুরেন্ট গান, ৭০ এমএম রকেট পডস, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল, আকাশ থেকে আকাশে আঘাত করার মিসাইল ইত্যাদি। এছাড়াও থাকবে থার্মাল ইমেজিং-এর ব্যবস্থা।
5. DRDO রুস্তম
এটি একটি স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধযান। বিশেষ বিশেষ অভিযানের অংশ করতে বায়ুসেনায় আনা হবে এটি। সীমান্তে নজরদারি চালাতে, জঙ্গলে আগুন লাগলে তা চিহ্নিত করতে, ধস মাপতে, ভিড়ে নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে এই ড্রোন।

নির্বাহী সম্পাদক