লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বিয়ের ৩ দিনের মাথায় নববধূ তার স্বামী নুর কুতুব সুজন (২২) এর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন। মুমূর্ষ অবস্থায় সুজনকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গের রগ কেটে যাওয়ায় ২৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে তার চাচা দুলাল মিয়া জানান।
গত মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর কুতুব সুজনের (২২) সাথে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ভ্যান চালক আশরাফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া আরফিনা আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে পর গত রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়।
ওই দিন রাতেই নববধু নিয়ে সুজন তার বাড়িতে চলে আসেন। এর দু’দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী মাঝে মনমালিন্যের এক পর্যায়ে নববধূ আরফিনা দা দিয়ে স্বামী সুজনের পুরুষাঙ্গে কেটে দেয়। পরে সুজনের চিৎকারে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর ভর্তি করান।
নববধূ আরফিনা আক্তার জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে একই উপজেলার কেটকিবাড়ি গ্রামের সহপাঠী রুবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে মেয়েটি হাতীবান্ধা দইখাওয়া আদর্শ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী আর প্রেমিক রুবেলও একই কলেজের সহপাঠী। আরও জানান, হঠাৎ করে তার বাবা আশরাফুল এক দিনেই মধ্যে বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু প্রেমের বিষয়টি তিনি তার পরিবারকে জানাতে পারেনি। বিয়ের দিন বিষয়টি প্রেমিক রুবেলকে মোবাইল ফোনে আরফিনা জানায় বলে দাবী করেন।
এরপর রুবেলের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে নববধূ সেজে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে তার স্বামী জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক করতে চাইলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরফিনা দা দিয়ে তার পুরুষাঙ্গে কেটেদেন।
আর আরফিনাকে দেখতে স্বামী সুজনের বাড়িতে ভীড় করছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। তাকে পাশের বাড়ির রাখা হয়েছে রাখা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার জন্য ছুটে এসেছেন পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী ও ইউপি সদস্য মহুবর রহমান।
সুজনের জেঠা বদিয়ার রহমান জানান, প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে। আর ছেলে পুরুষাঙ্গের মাঝামাঝি জায়গায় রগ কেটে যাওয়ায় সেড়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি ।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেশ্বর রায় বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নির্বাহী সম্পাদক