গভীররাতে ঝাড়খণ্ডে রেল লাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা (Maoist)। যার জেরে বিপর্যস্ত হাওড়া-মুম্বই ট্রেন পরিষেবা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর রেল বিভাগের লোটাপাহার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।এই ঘটনার পর চক্রধরপুর রেল বিভাগে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বহু স্টেশনে আটকে রয়েছে ট্রেন। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার সাধারণ যাত্রীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন মেরামতির কাজ করা হচ্ছে বলে খবর।
খবর।
জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের নজর ছিল আজাহ হিন্দ এক্সপ্রেসে। সেই কারণেই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর রেলওয়ে ডিভিশনের লোটাপাহাড় ও সোনুয়া স্টেশনের মাঝে রেল লাইনে ল্যান্ডমাইন বিছিয়ে রাখা হয়। রাত ২ টো নাগাদ বিস্ফোরণে উড়ে যায় রেল লাইনের কিছুটা অংশ। খবর পাওয়া মাত্রই চক্রধরপুর ডিভিশনে আটকে দেওয়া হয় সমস্ত ট্রেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশের আধিকারিক ও আরপিএফরা। তারপরই শুরু হয় কাজ।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতে একটি মালগাড়ির চালক প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ পান। তিনই খবর দেন হেডকোয়ার্টারে। সেই কারণেই স্টেশনেই আটকে দেওয়া হয় আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস। ফলে সফল হতে পারেনি মাওবাদীরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অতি শীঘ্রই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
এর আগে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এলাকায় তল্লাশি অভিয়ান চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। অতর্কিত হামলায় শহিদ হয় ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। পাল্টা জওয়ানদের গুলিতে কমপক্ষে ২ মাওবাদীর মৃ্ত্যু হয়। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, মাও দমন করতে সবরকম পদক্ষেপ নেবেন। তার আগে মহারাষ্ট্রে পুলিশি তৎপরতায় বানচাল হয় বড়সড় নাশকতার ছক। টানা গুলির লড়াই শেষে খতম হয়েছিল ৫ মাওবাদী।
নির্বাহী সম্পাদক