করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। সংক্রমণ মোকাবিলায় টিকাকরণ কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে এগিয়ে সফলতা এসেছে। ভারতই বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে ১৪ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকাকরণে বিশ্বে শীর্ষে ভারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত দেশের ১৪ কোটি ৮ লক্ষ ২ হাজার ৭৯৪ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বে দেশের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের করোনা টিকা দেওয়া হয়। তারপর শুরুহয় প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ। একইসঙ্গে ৪৫ বছরের উপরে কোমর্বিট রোগীদেরও করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। সপ্তাহ খানেক আগেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এবার আগামী ১ মে থেকে দেশজুড়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে দেশে দুটি সংস্থার টিকা দেওয়া হচ্ছে। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ চলছে দেশজুড়ে। শীঘ্রই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-ও দেওয়া শুরু হয়ে যাবে দেশে।
দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি বাড়াতে তৎপরতা তুঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও মিলছে করোনার টিকা। ১ মে থেকে খোলা বাজারেও করোনার টিকা মিলবে। ইতিমধ্যেই ১৪ কোটি ভারতাবাসী করোনার টিকা পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দেশের ৯২ লক্ষ ৮৯ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। এরই পাশাপাশি ৫৯ লক্ষ ৯৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণও হয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও ১ কোটি ১৯ লক্ষ ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। তার মধ্যে ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার দ্বিতীয় ডোজের টিকাও নিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, দেশের ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে ৪ কোটি ৭৬ লক্ষ বাসিন্দা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২৩ লক্ষ ২২ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজের করোনা টিকাও নিয়ে পেয়েছেন। একইসঙ্গে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের ৪ কোটি ৯৬ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৭৭ লক্ষ ২ হাজার মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক