ভারতের এই ডাবল বা ট্রিপল মিউটেন্ট যদি বাংলাদেশে চলেই আসে তবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সামাল দিতে পারবে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনই তো সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সেখানে ওটা কী করে সামাল দেবো। আমাদের দেশে যা হবার তা-ই হবে। আমরা কিছু পারিনি, পারবোও না।’
মিউটেশন সার্ভেইলেন্সের দায়িত্ব আইইডিসিআর-এর। এমনটা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, তারা আমাদের এখন পর্যন্ত ডাবল বা ট্রিপল মিউট্যান্ট ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানায়নি।
কিন্তু ভারত থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট দেশে আসার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, যেহেতু প্রতিবেশী দেশ, এয়ার ট্রাভেল বন্ধ করার আগেও চলে আসতে পারে। আমাদের এখন কন্টাক্ট ট্রেসিংও হচ্ছে না। তাই দেশে এসেছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ তো দূরের কথা, সাধারণ বেডই পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে এলে কুলিয়ে উঠতে পারবো না আমরা। ভেঙে পড়বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।’
যে কোনও মহামারিতে মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। সেটা সরকার এবং সাধারণ মানুষ-সবার জন্যই দরকার। এমন মন্তব্য করেন অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান। তিনি বলেন, কোথায় কোথায় এটা পাওয়া গেছে, সেটা জেনে সে হিসেবে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। এটার বিরুদ্ধে হয়তো টিকা কাজ করবে না। তাই দ্রুত ছড়াবে। জটিলতা বাড়বে। তখন আবার সংক্রমণ কমাতে লম্বা লকডাউন দিতে হতে পারে। এ জন্য মানুষকে তথ্য জানাতে হবে, নইলে অ্যাকশনে কাজ হবে না। তথ্য জানলে মানুষও সতর্ক হবে। প্রথম থেকেই দেখা গেছে, মানুষ ভয় পাবে এই যুক্তি দেখিয়ে অনেক তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু মানুষ ভয় না পেলে সতর্ক হবে না। বললেন অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান।
বার্তা বিভাগ প্রধান