Home » চেন্নাই’য়ের বিরুদ্ধে আউট হয়ে কেন মুষড়ে পড়েছিলেন, জানালেন রাসেল নিজেই

চেন্নাই’য়ের বিরুদ্ধে আউট হয়ে কেন মুষড়ে পড়েছিলেন, জানালেন রাসেল নিজেই

মুম্বই:

ঠিক আগের ম্যাচেই তাঁর ফিটনেস নিয়ে উঠে গিয়েছিল হাজারো প্রশ্ন। বল হাতে আরসিবি’র বিরুদ্ধে ২ ওভারে ৩৮ রান খরচ করার পর ব্যাট হাতে ব্যর্থ রাসেলের বিকল্প দলটাতে ছিল না। নইলে হয়তো চেন্নাই’য়ের বিরুদ্ধে একাদশ থেকে বাদই পড়ে যেতেন তিনি। ভাগ্যিস সেই বিকল্পটা কেকেআরের হাতে ছিল না। আর ছিল না বলেই ধোনিদের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ান পিঞ্চ-হিটার জানান দিতে পারলেন যে রাসেল আছে রাসেলেই। না তাঁর মারকাটারি ২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস নাইটদের কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু সিএসকে’র বিরুদ্ধে হারের পরে মুষড়ে যায়নি বেগুনি শিবির। বরং অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এই ভেবে যে আমরাও চাইলেই পারি।

দল মুষড়ে না পড়লেও চেন্নাই’য়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ না করে আসতে পারার কারণে দারুণভাবে মুষড়ে পড়েছিলেন রাসেল। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে না গিয়ে সামনের সিঁড়িতে বসেছিলেন বেশ কিছু সময়। সতীর্থ প্যাট এরপর কামিন্স শত চেষ্টা করেও বৈতরণী পার করতে ব্যর্থ হন। সবমিলিয়ে সিএসকে’র বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারায় যেন বাড়তি হতাশা গ্রাস করে রাসেলকে। কিন্তু ওভাবে মুষড়ে পড়ার কারণ ঠিক কী? নাইটদের ওয়েবসাইটে অনুরাগীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সেকথা নিজেই জানালেন রাসেল।

ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং সুপারস্টার বলেন, ‘আউটের পর আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না ওইভাবে বোল্ড হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের সামনে কেমন করে দাঁড়াব।’ রাসেল বলেন, ‘তোমরা জানো যে আমার কাজ তখনও শেষ হয়েছিল না। আমি চেয়েছিলাম দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। কিন্তু সেটা না পারায় আবেগ চেপে রাখতে পারিনি কিন্তু আপাতত শক্ত থাকার চেষ্টা করছি।’

ক্যারিবিয়ান অল-রাউন্ডার আরও বলেন, ‘নিজের কাজ শেষ করতে না পেরে আউট হলে মানুষ রেগে যায় কিন্তু ওই রাতের ঘটনাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। আমি আবেগপ্রবণ এবং হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমি দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম ভীষণভাবে। কিন্তু সেটা না হওয়াটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক ছিল।’

উল্লেখ্য, প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই’য়ের ছুঁড়ে দেওয়া ২২১ রান তাড়া করতে নেমে প্রাথমিকভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল কেকেআর। মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন লজ্জাজনক হারের প্রমাদ গুনছিল শাহরুখের দল। ঠিক তখনই কার্তিক-রাসেল জুটি ম্যাচের সমীকরণ বদলে দিয়েছিলেন ঝোড়ো ব্যাটিং’য়ে। কার্তিকের ২৪ বলে ৪০ এবং রাসেলের ২২ বলে ৫৪ রানে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল নাইটরা। কার্তিক-রাসেল ফেরার পর আবার ঝড় উঠেছিল প্যাট কামিন্সের ব্যাটে।

তবে ৩৩ বলে ৬৪ রান করে কামিন্স অপরাজিত থাকলেও টেল-এন্ডারদের ব্যর্থতায় ১৮ রানে ম্যাচ হারতে হয় কেকেআরকে। ১৯.১ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় বেগুনি শিবির।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *