সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে একটি মাংসের দোকানে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে শিবগঞ্জের মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানের পার্শ্ববর্তী বিসমিল্লাহ মিট শপের ফারুক নামের এক কর্মচারী বৃহস্পতিবার সকালে তার কর্মস্থলে আসেন। এসময় তিনি দেখতে পান মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানে জবাইকৃত একটি গাভীর ভেতর থেকে একটি বাচ্চা বের করা হচ্ছে। তিনি সাথে সাথে আশপাশের আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ীও ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেছে বুঝতে পেরে মাখনা মিয়ার গোস্তের দোকানের লোকজন গাভীর বাচ্চাটিকে পার্শ্ববর্তী ড্রেনে ফেলে দেয় । কিন্তু বিসমিল্লাহ মিট শপের কর্মচারী ফারুক জবাইকৃত গাভীর বাচ্চা ড্রেন থেকে তুলে বাজারে আসা সবাইকে দেখান এবং ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। এরি মধ্যে দোকানের অধেক মাংস বিক্রি করে ফেলে দোকানের লোক জন।
পরবর্তীতে এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে কথা বলতেও রাজি হননি মাখন মিয়া গোস্তের দোকানের লোকজন।
এ ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি ঘটনাটি শুনেছি। ভেটেরিনারি সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢেকেছি ও মেয়র মহোদয়কেও অবহিত করেছি। পশু জবাইয়ের পূর্বে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন পশু দেখার পর সীল (জবাইয়ের অনুমতি) দেয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবেই হয়। কিন্তু আজ কী হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। খবর শুনে ওই মাংস সিসিকের লোকজন জব্দ করেনি বলেও তিনি স্বীকার করেন। এ বিষয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
বার্তা বিভাগ প্রধান